মল্লিক মোঃ জামান,
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে জনতার ঢল নেমে আসে। সমাবেশ শুরুর আগে ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড থেকে প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসে নেতাকর্মীরা। 'নারায়ে তকবির তাকবির আল্লাহু আকবর’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।
বুধবার(২৫ ডিসেম্বর বিকেলে বাইনতলা ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর আয়োজনে পবনতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর সভাপতি মাওলানা নুর মোহাম্মদ’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর এ্যাডঃ মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতর সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ইকবাল হুসাইন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর মল্লিক আবদুল হাই, নায়েবে আমীর খাঁন রেজাউল করিম, সেক্রেটারী মাওলানা জিহাদুজ্জামান, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল কাদির, গাজী মাহাবুবুল আলম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমাদের ফ্যাসিস্ট সরকার খোলা মাঠে কথা বলার সুযোগ দেয়নি। বিগত সরকার ভারতের দালালি করেছে। আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে, আমরা পেয়েছি নতুন এক বাংলাদেশ। ফ্যাসিস্ট সরকার জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে মতিউর রহমান নিজামী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে। শিবির ট্যাগ দিয়ে বিশ্বজিৎকে খুন করেছে এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আবরার ফাহাদকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। রামপাল-মোংলা আসনের জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আবু বকার সিদ্দিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এদেশের ছাত্র জনতা গুলিকে ভঁয় পায়নি। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনে আবারও শহীদ হওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আগামী দিনে কুরআন এর আইনে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। জামায়াত লুটখাট করেনা, কারো ঘের দখল করেনা। আগামীতে জামাত ক্ষমতায় গেলে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা পাবে এদেশের সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র গঠনে কাজ করার আহবান জানান নেতারা।
সমাবেশে জামায়াত ইসলামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।