হামিদুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
২৫ ডিসেম্বর শুভবড়দিন। খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বড়দিনকে ঘিরে খ্রিস্টান ধর্মের পাশাপাশি স্থানীয় সব ধর্মের মানুষের মধ্যে বইছে সাজ সাজ রব। বড়দিন উপলক্ষে জেলার ধর্মীয় উপাসনা গুলো সহ বসত বাড়ি সাজানো হয়েছে বর্নীল সাজে। মুজিবনগর ও গাংনীর নিত্যানন্দনপুরে বয়ছে অর্ধ শতবছরের ঐতিহ্য মেলা। মেলা ঘিরে পার্শবর্তী জেলার লোকজন জড়ো হয়েছে।
মেহেরপুর জেলার ১৭টি গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকাতা শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে গীর্জায় প্রভুর ভোজের উপসনার মধ্যে দিয়ে মুজিবনগরের ভবরপাড়া,বল্লভপুর,রতনপুর,গাংনীর নিত্যানন্দনপুন ও চৌগাছা জপমালার র্গীজায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এরআগে সোমবার রাত ১২ টায় প্রদীপ প্রজ্বলন ও আতশবাজি সহ নানা আয়োজনের মধ্যে বড়দিনকে বরণ করেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা। মুজিবনগও ও গাংনীর নিত্যানন্দনপুরে বসেছে অর্ধ শতবছরের মেলা, যেখানে রয়েছে নাগরদৌলা, খই-মুড়কি, দই-মিষ্টি খেলনাসহ বিভিন্ন খাবারের দোকান। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও মেলা ঘিরে পার্শবর্তী জেলার লোকজন জড়ো হয়েছে এক সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করার জন্য।
মেলাকে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা বলেন,সব ধর্মের মানুষ এক সাথে আনন্দ উৎসব পালন করা হয়। এখানে কোন অপ্রিকর ঘটনা কোন দিনই ঘটেনি। শান্তিপুলর্ন ভাবে বড় উৎপাপিত হচ্ছে।
সমাজকর্মী মামুন অর রশিদ বিজন বলেন, বড়দিন উপলক্ষে নিত্যানন্দপুরের ঐহিত্য মেলা বসে। এই মেলায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ সমবেত হয়।
খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী অপু বলেন, আমরা সব ধর্মের মানুষ একসাথে বড়দিন উৎযাপন করি। এছাড়া সারা বছরই আমরা একত্রে শান্তিপূর্ন ভাবেই বসবাস করি।
চৌগাছা জপমালা গীর্জার প্রধান কুটির বলেন,সার্বিক নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শুভ বড়দিন পালন করছি। অন্যবারের মত এবারও শান্তিপূর্ন ভাবে বড়দিন উৎযাপিত হচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী মেলার বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মেলাতে অনেক দোকান হয়েছে। কোন রকম ঝামেলা ছাড়া আমরা সকল ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসা করতে পারি। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে বেচাকেনাও বেশ ভালো হয়।
এদিকে বড় দিনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম জানান, বড়দিন শান্তিপূর্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।