রায়পুরে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

Date: 2024-12-25
news-banner
মো:শাহজালাল দেওয়ান, রায়পুর লক্ষ্মীপুর : 
দিগন্ত মাঠ জুড়ে পাকা ধানের সমারোহ, কৃষকের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। সোনালি শীষে ভরা ক্ষেতগুলো হাওয়ায় দুলে দুলে উঠছে, যেন প্রকৃতি তার সাফল্যের গান গাইছে। আর প্রকৃতিকে বলছে, এ যেন নবান্নের উৎসব।লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় এ বছর আমন ধানের ফলন অত্যন্ত ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা এবং সঠিক পরিচর্যার কারণে আশানুরূপ ফলনে কৃষকদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এখন ধান কাটার উৎসব চলছে। অগাস্ট মাসে ফেনী, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুরে ভয়াবহ বন্যার কারণে কৃষি খাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ে। রায়পুর উপজেলার আমন ধানের চারা টানা ১৫ দিন পানির নিচে ডুবে ছিল, যা কৃষকদের হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। কিন্তু বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর উর্বর জমিতে আমন ধানের বাম্পার ফলন কৃষকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। রায়পুর উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, জমিগুলোতে আমন ধানের শীষ ভারী হয়ে গাছগুলো নুইয়ে পড়েছে। কৃষকরা ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু করেছেন এবং কেউ কেউ ধান ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, এবার আমন ধানের রোগবালাই অনেক কম ছিল। এর ফলে উৎপাদন আশার চেয়েও বেশি হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে আমন ধান কাটা হয়। তবে এ বছর অগ্রহায়ণের শুরুতেই কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন। ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকেরা সব খরচ বাদ দিয়েও লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই নকল কীটনাশকের ছড়াছড়ি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এসব নকল কীটনাশক ব্যবহারের ফলে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি না থাকায় তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ধান কাটার পর জমিতে বোরো ধান চাষের পাশাপাশি আলু, সরিষা এবং অন্যান্য রবিশস্য উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা কৃষকদের জন্য বোনাস ফসল হিসেবে কাজ করবে। এতে তাদের উৎপাদন ও আয় দুই-ই বাড়বে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, নকল কীটনাশকের বিরুদ্ধে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

Leave Your Comments

Trending News