মাহমুদুল হাসান ফরিদ,মেহেন্দিগঞ্জঃ মেহেন্দিগঞ্জের সীমান্তবর্তী ধূলখোলা ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্থানীয় মসজিদ কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মতিন খান (৭৬)কে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওই ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে আল আমিন এর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ৪ ঘন্টার মাথায় ছেলেকে মাদকাসক্ত সাজিয়ে রিহ্যাবে রেখে আসেন তার বাবা। বুধবার গভীর রাতে আব্দুল মতিন খান তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে ওজু করার জন্য ঘর থেকে বাহিরে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা আল আমিন স্টীলের লাইট দিয়ে একাধিক আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন এবং বাম চোখ ফোলা জখম করেন। আহতকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলাকারী আল আমিন ওই ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সরদার এর ছেলে। আহতের ভাতিজা নজরুল ইসলাম বলেন, মামলা এবং গ্রেফতার এড়ানোর জন্যই ছেলেকে মাদকাসক্ত প্রমাণের চেষ্টা করছেন তার বাবা। জানা গেছে বরিশালের সর্বাধুনিক মাদকাসক্তি ও মানসিক রোগ চিকিৎসা কেন্দ্রে 'হামলাকারী ছেলেকে রেখে আসেন তার বাবা। এদিকে ছেলেকে রিহ্যাবে রাখা নিয়ে প্রতিবেশীরা বলেন, রাজ্জাক সরদারের সন্ত্রাসী ছেলে আল আমিন, দীর্ঘদিন এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসলেও শাসন করেন নি তার পিতা আব্দুর রাজ্জাক। পিতার আস্কারা পেয়ে ছেলে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হয়ে উঠেন। আহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমার বাবার উপর হামলার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ছেলেকে মাদকাসক্ত সাজিয়ে রিহ্যাবে দিয়ে আসেন তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক সরদার, হামলাকারীরা আলীগঞ্জ পশ্চিম বাজারের ১২থেকে ১৪টি পরিবারের জমি জবরদখল করে নেওয়ার পায়তারা করে যাচ্ছেন, যা আমার বাবা বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছেন, সেই সুত্রধরেই বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তিনি আরো বলেন, রাজ্জাক সরদারের আপন দুই ভাই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে এলাকায় খুন, জখম, চাঁদাবাজি এবং ডাকাতি করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে খুন জখম এবং চাঁদাবাজির ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রতিবেশী রওশনারা বেগম বলেন, আল আমিন এলাকায় অনেক নারীদের উত্যক্ত করে আসছে কিন্তু তার বাবা-মা এর শাসন না করায় সে বেপরোয়া হয়ে গেছে, এখন ছেলেকে পাগলা গারদে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিচ্ছেন। অভিযুক্ত আল আমিন এর বাবা আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলের মানসিক সমস্যা আছে তাই মতিন খানকে মারধর করেছে, ছেলের অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাকে বরিশাল রিহ্যাবে দিয়ে আসছি। আমার ছেলে কয়েকবার আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করার চেষ্টাও করছে। এলাকায় কয়েকদিন পরপর ঝামেলা সৃষ্টি করে বেড়ায় সে।