রাতের আধারে হত্যা চেষ্টা এবং গুম করার অভিযোগ

Date: 2024-11-20
news-banner
ময়মনসিংহ  তারাকান্দা  উপজেলার ৪নং গালাগাও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এর মাইলোড়া গ্রামের মা, ছেলে এবং স্ত্রীসহপুরো পরিবারকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ৫.৮.২০২৩ ইং তারিখ রাতের আধারে এই হত্যা যোগ্য চালানোর চেষ্টা করে।
এই হত্যাযোগ্য চালানো নিল নকশা করেন ১/ মোঃ আরছব আলী (পিতা মৃত: রহিম রহিম আলী) ২/ মোছাঃ রাশিদা খাতুন (স্বামী মোঃ আরছব আলী) ৩/ মো: নইম উদ্দিন  (পিতা মৃত: আব্দুল হোসেন) ৪/মোছা: ছোলেমা খাতুন (স্বামী মোঃ নইম উদ্দিন) । তারা প্রত্যেকেই একই গ্রামের । তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো এই হত্যাকান্ড চালানোর পর সমস্ত সহ-সম্পত্তি  এবং টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে গ্রামে একটি আধিপত্য সৃষ্টি করা এবং নিরীহ মানুষের নির্যাতন-নিপীড়ণ চালানো । কারণ এমন হত্যাকাণ্ড চালালে তাদের বিরোধিতা করার মত কেউ থাকবে না, মোঃ রুহুল আমিনের পরিবারের । কারণ এই ভুক্তভোগীর না আছে বাবা বেঁচে , না আছে ভাই, না আছে বোন, না আছে কাছের আত্মীয় । তাই তারা মনে করে এমন হত্যাকাণ্ড চালানো তাদের পক্ষে সহজসাধ্য। সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে গত ১৩.৮.২০২৩ ইং তারিখে আক্রমণ চালায় এমন নিরীহ পরিবারের উপর (মোঃ রুহুল আমিন এর পরিবারের উপর) । 
প্রতিদিনের নেয় মা, স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘুমাতে যাই রুহুল আমিন । প্রকৃতির ডাকে ঘড় থেকে রাতে বের হলে, সন্ত্রাসীরা রান্দা,বটি  এবং নানান ধরনের দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুহুল আমিনের উপর । রুহুল আমিন কে হত্যার উদ্দেশ্যে যখন রামদা দিয়ে মাথায় আঘাত করতে যাই তখন রুহুল আমিন সেটা টের পেয়ে হাত দিয়ে বাধা দেয় এবং রান্দা ধরে ফেলে , তার ওই পরিপ্রেক্ষিতে মাথায় না লেগে হাতে এবং গাছে কোপ লাগে। কিন্তু রুহুল আমিন এতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই । এমন অসহ্য যন্ত্রণায় রুহুল আমিন চিৎকার দিলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে  তার বৃদ্ধ  মা।  সেই বৃদ্ধ মহিলাকে চুল ধরে বারান্দা থেকে বের করে আনে ১/ মো: নইম উদ্দিন  (পিতা মৃত: আব্দুল হোসেন) ২/মোছা: ছোলেমা খাতুন (স্বামী মোঃ নইম উদ্দিন) এবং তারা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দ্বারা মাথায় এবং সারা শরীরে কোপাতে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। এতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিৎকার করতে থাকে বাঁচার উদ্দেশ্যে। সেই চিৎকারে এগিয়ে আসে এলাকার মানুষ এবং উদ্ধার করে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে । এমন অবস্থায় এলাকাবাসী তার শ্বশুরবাড়িতে বিষয়টি অবগত করে । তারা গুরুতর অবস্থা দেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং এলাকার কিছু লোকজন তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যাই। যার পরিপেক্ষিতে অল্পের জন্য বেচে যাই মা, ছেলে । 
এমন গুরুতর অবস্থা দেখে এলাকাবাসী এবং রুহুল আমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন  তারাকান্দা থানাই অবগত করে এবং মামলা দায়ের করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে । 
কিন্তু মামলা দায়ের করার পরেও আবারো এমন নিরীহ পরিবারের উপর কালো অধ্যায়  নেমে আসে বিভিন্ন দিক থেকে। মামলা উঠিয়ে নেওয়া  থেকে শুরু করে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। 
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নিজ গ্রামে থাকা শুরু করে কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতার বলয়ে সন্ত্রাসীরা আইনের ধরা চুয়ার বাইরে থেকে তাদের নিজ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে এমন হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য । 
তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৫/১১/২০২৪ ইং থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং মোঃ রুহুল আমিনের বাসার চারপাশে রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করছে হত্যার উদ্দেশ্যে, যা এলাকাবাসী এবং রুহুল আমিনের পরিবার দেখেছে বলে অবগত করেন আমাদের । এলাকাবাসী ও তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ১/ মোঃ আরছব আলী (পিতা মৃত: রহিম রহিম আলী) ২/ মোছাঃ রাশিদা খাতুন (স্বামী মোঃ আরছব আলী) ৩/ মো: নইম উদ্দিন  (পিতা মৃত: আব্দুল হোসেন) ৪/মোছা: ছোলেমা খাতুন (স্বামী মোঃ নইম উদ্দিন) এরা আগে থেকেই এলাকায় একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
তাই মোঃ রুহুল আমিনের একটাই অনুরোধ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর তিনি এবং তার পরিবার যেন সুষ্ঠু, সুন্দর,  সুশৃংখলভাবে চলাফেরা করতে পারে সেই পরিবেশ যেন পায়।  তার জন্য প্রশাসনের কাছে অযোগিতা কামনা করেন এবং সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারীদের যথাযথ শাস্তির দাবি জানান।

Leave Your Comments

Trending News