নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং খুলনা-৭৬৪ এর ত্রিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনাতনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নটি প্রতিষ্ঠার পর নিবন্ধিত হয়ে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত আ’লীগ সরকারের সময় থেকে ভোট বিহীন অবস্থায় গায়ের জোরে সংগঠনটি দখল করে রেখেছিল ফ্যাসিস্টদের দোসররা। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর সংগঠনের দখলদার বাহিনী পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় জেলা শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচানা করে গঠনতন্ত্র মাফিক ও শ্রম আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করি। গত ৩০ আগষ্ট বিধি মোতাবেক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্রের ৩২/ছ ধারা অনুযায়ী আহবায়ক কমিটি ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু আ’লীগের দোসররা শ্রম পরিদপ্তরের পরিচালকের মাধ্যমে একটি ত্রিমুখী সভায় আমাদের পক্ষে আহবায়ক কমিটিতে ৩ জন ও বিরোধী পক্ষের ২জন রাখার সিদ্ধান্ত এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে মোঃ আব্দুস সবুর ডিমোনেস্টেটরকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু খুলনা শ্রমিক অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান তার রেজুলেশনে আহবায়ক কমিটিতে আ’লীগের দোসর ৩জনকে রাখেন। তার মধ্যে একজনকে গঠনতন্ত্র বর্হিভূত ভাবে সদস্য সচিব এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে চেয়ারম্যান বদলিয়ে ডেমনেস্টেটর আলমগীর কবিরকে দিয়েছেন। যার ফলে সমস্যা ক্রমশঃ জটিল হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর আহবায়ক ৮৫০ জনের নিয়মিত কার্ড দেখতে পান। কিন্তু ভূয়া সদস্য সচিব ও পলাতক আব্দুল আহাদ ও কাদু দুইজন মিলে ষড়যন্ত্র করে আরও ৭০০ জনের মত নতুন ভূয়া কার্ড দিয়ে ১৫৫০ ভোটার সৃষ্টি করে একটা প্রহসনের নির্বাচনের পায়তারা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনের তপশিলও প্রকাশ করেছে। এখন আমাদের প্রশ্ন আহবায়কের সাক্ষর ছাড়া একটি অবৈধ ভুয়া ভোটার তালিকা তারা কিভাবে গ্রহণ করলেন? এক্ষেত্রে শুধু মাত্র একপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সবকিছু স্বেচ্ছাচারিতা ভাবে ফ্যাসিষ্ট কায়দায় করা হচ্ছে। যা একটা সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা তাদের উদ্দেশ্য মাত্র। সংগঠনটি পরিচালনার জন্য একটা শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটা আমাদের কামনা। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র ও প্রহসনের মাধ্যমে চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ না হলে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের সম্ভাবনা বিদ্যমান। এমতাবস্থায় জরুরী ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই অবৈধ নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করে গত ৩০ আগষ্টের সাধারণ শ্রমিক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা হতে পারে। একই সাথে অত্র সংগঠনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানানো হয়।