রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ডিসেম্বরে নির্বাচন করে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান করা সম্ভব: রুহিন হোসেন

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজনের চিন্তা অপ্রয়োজনীয় কালক্ষেপণ। তাঁর মতে, ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করে সংস্কার ও বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিপিবির এই নেতা।

রুহিন হোসেন বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন করে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান করা সম্ভব। যাঁরা নির্বাচন এপ্রিলে করার কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা একমত নই। এই কালক্ষেপণের মধ্য দিয়ে আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি করিডর ও বন্দর নিয়ে নিজেদের অনেক ইচ্ছা বাস্তবায়ন করে নিয়ে যেতে পারে, যা আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর।’

এপ্রিল নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত নয় জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ফেব্রুয়ারির পর পবিত্র শবে বরাত, রোজা, বিভিন্ন পরীক্ষা ও আবহাওয়ার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেখা যায়, এপ্রিল নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয়, বরং নির্বাচন আরও পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

রুহিন হোসেন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের এখতিয়ার যতটুকু, ওই কাজটুকুই করেন, তাহলে সংকট হবে না। এখতিয়ার–বহির্ভূতভাবে যদি কিছু করতে চান, তাহলে জনগণের প্রশ্ন আসবে আপনি কী দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করছেন নাকি বিদেশি কোনো গ্রুপের, কোনো শক্তির বা অপশক্তির ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন।’

নির্বাচনকালীন সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি তুলে রুহিন হোসেন আরও বলেন, সরকার যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ দিতে ব্যর্থ হয়, তবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা দলগুলো প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলবে, যাতে একটি ভালো নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত কি না, এ বিষয়ে প্রশ্নে রুহিন হোসেন বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে আমরা নই। কিন্তু এত বড় হত্যাযজ্ঞের পরও আজ পর্যন্ত তাদের কোনো অনুশোচনা দেখছি না। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কথা বলার নৈতিক অধিকার তারা হারিয়েছে। দ্রুত নির্বাচন না হলে পতিত শক্তি হয়তো আবার সামনে আসার সুযোগ পাবে। বিষয়টা জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত, জনগণই এ বিষয়ে রায় দেবেন।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবিন নেতা এস এ রশীদ, খুলনা মহানগর সিপিবির সভাপতি এইচ এম শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।